মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: বিয়ে করেননি নিহত ম্যাডাম মাসুকা, ক্ষুদে কোমলমতিরাই ছিল তার সন্তান

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরেক শিক্ষিকা মাসুকা বেগম নিপু নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে বড় বোনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।

 

জানা গেছে, মাসুকা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকুট গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাইমারি শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন মাসুকা বেগম। স্কুলের বাচ্চাদেরকেই তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তাই তো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজে বের হয়ে আসতে পারলেও, বের হননি তিনি। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে একে একে বের করেছেন অনেক শিক্ষার্থীকে। এক পর্যায়ে নিজে দগ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রুমের ভেতর। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

 

মাসুকা বেগমের স্বজনরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের সময় মাসুকা বেগম ক্লাসে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দগ্ধ অবস্থায় তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে মাসুকা বেগমের মরদেহ বড় বোন পাপড়ি রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

তারা আরও জানান, হাসপাতালে পাশের বেডে চিকিৎসাধীন আরেক শিক্ষককে মাসুকা বেগম তার শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর পর যেন তাকে বড় বোনের বাড়িতে দাফন করা হয়। সে অনুযায়ী তার মরদেহ সোহাগপুর গ্রামে দাফন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মাইলস্টোনে নিহত আফনান ফাইয়াজের পরিবারের পাশে রিজভী

» জুলাই আন্দোলনের খুনিদের স্থান এদেশে নেই: প্রেস সচিব

» দুুই ট্রাকের ধাক্কায় হেলপার নিহত, আহত চালক

» জমি নিয়ে সংঘর্ষে বৃদ্ধা নিহত, আহত ৪

» ফেসবুক পেজ জনপ্রিয় করার কৌশল

» এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের গোলাগুলি

» মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালকের সঙ্গে হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

» ‘নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কেউই ইতিবাচকভাবে নেয়নি’

» ২৩ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

» দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: বিয়ে করেননি নিহত ম্যাডাম মাসুকা, ক্ষুদে কোমলমতিরাই ছিল তার সন্তান

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : উত্তরায় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আরেক শিক্ষিকা মাসুকা বেগম নিপু নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে বড় বোনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়েছে।

 

জানা গেছে, মাসুকা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিলোকুট গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাইমারি শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন মাসুকা বেগম। স্কুলের বাচ্চাদেরকেই তিনি নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। তাই তো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিজে বের হয়ে আসতে পারলেও, বের হননি তিনি। আগুনের লেলিহান শিখা থেকে একে একে বের করেছেন অনেক শিক্ষার্থীকে। এক পর্যায়ে নিজে দগ্ধ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান রুমের ভেতর। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

 

মাসুকা বেগমের স্বজনরা জানান, বিমানটি বিধ্বস্তের সময় মাসুকা বেগম ক্লাসে ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন তিনি। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দগ্ধ অবস্থায় তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে মাসুকা বেগমের মরদেহ বড় বোন পাপড়ি রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

তারা আরও জানান, হাসপাতালে পাশের বেডে চিকিৎসাধীন আরেক শিক্ষককে মাসুকা বেগম তার শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর পর যেন তাকে বড় বোনের বাড়িতে দাফন করা হয়। সে অনুযায়ী তার মরদেহ সোহাগপুর গ্রামে দাফন করা হয়।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com